বাইশারী প্রতিনিধি :
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়নের বাঁকখালী মৌজায় নিজ খামার বাড়ী থেকে গত ২১ জানুয়ারি শনিবার ভোর রাতে অপহরণের শিকার চার তামাক চাষী দীর্ঘ চারদিন পার হলেও এখনো উদ্ধার হয়নি। পরিবারের সদস্যরা রয়েছে উদ্বেগ, উৎকন্ঠায়।
গত শনিবার ভোর রাত চারটার দিকে ১০/১২ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ (১৬), আব্দুর রহিম (২৫), শাহ্ আলম (৪০), অপরজন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাঁকখালী মৌজার বাসিন্দা আবু ছৈয়দ (৪২) কে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে যায়। নিয়ে যাবার ১৬ ঘন্টার পর অপহৃতদের মোবাইল ফোন থেকে জনপ্রতি ২ লাখ টাকা করে মোট ৮ লাখ টাকা মুক্তিপনের জন্য চাঁদা দাবী করে আসছিল সন্ত্রাসীরা। মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় এখনো পর্যন্ত তারা সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত হতে পারেনি বলে জানান অপহৃত আব্দুল আজিজের পিতা নুরুল আলম। অপহৃত অন্যান্য পরিবারের সদস্যরা জানান, সময়মত টাকা পরিশোধ করতে না পারলে তাদের হত্যা করা হবে বলে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে আসছে সন্ত্রাসীরা। উক্ত ঘটনায় অপহৃত পরিবারে সদস্যদের মাঝে চলছে শোকের মাতম।
অপরদিকে অপহরণের পর থেকে পুলিশ-বিজিবির সদস্যরা গহীন পাহাড়ের সম্ভাব্য স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু তারপরও সন্ত্রাসীরা অপহৃতদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর শেখ বলেন, অপহরণের পর থেকে দুর্গম পাহাড়ে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবিসহ অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অপহৃতদের উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তিনি আরো বলেন, অপহৃতদের উদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত দুই মাস আগেও একই ইউনিয়নের ছাগল খাইয়া থেকে তিন কৃষককে অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে নিজ বাড়ী থেকে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ নয়দিন পর মুক্তিপনের বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। এছাড়া বিগত দিনে একই ইউনিয়ন থেকে দুই ডজনের অধিক লোকজনকে অপহরণ করেছিল সন্ত্রাসীরা। এ পর্যন্ত কাউকে মুক্তিপন ছাড়া উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানান স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার।
বর্তমানে পুরো উপজেলায় অপহরণ ও মুক্তিপন বানিজ্য নিয়ে রাতদিন সবার মুখে গুঞ্জন সহ আতংক বিরাজ করছে।
পাঠকের মতামত: